রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন
ত্যাগ ও সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঈশ্বর জ্ঞানে মানব সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন তার যাত্রা শুরু করে। সমগ্র জগতের হিত সাধনে এই যুগ্ম সংগঠন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই বছর ১লা মে রামকৃষ্ণ মিশন পদার্পণ করল ১২৬ বছরে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের এই সুদীর্ঘ পথ চলার কিছু কাহিনী আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ইতিহাস
রামকৃষ্ণ মঠের সূত্রপাত করে গিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণদেব স্বয়ং। শ্রীরামকৃষ্ণ ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় ১৮৮৫ সালের ১১ই ডিসেম্বর শ্রীমা সারদা দেবী এবং কিছু ত্যাগী শিষ্য সহ কাশীপুরের উদ্যানবাটীতে চলে এসেছিলেন। এখানে নরেন্দ্রনাথ (স্বামী বিবেকানন্দ) ও অন্যান্য যুবক শিষ্যরা শ্রীরামকৃষ্ণের সেবা ও নিজেদের আধ্যাত্মিক সাধনায় যেভাবে মগ্ন হয়েছিলেন তা থেকেই রামকৃষ্ণ মঠের সূচনা একেবারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। ২৪৮ দিন এই বাড়িতে থেকে মানবলীলা সংবরণ করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। আর এই ক'দিনেই নিজের হাতে মঠের রূপটি তিনি এঁকে দিয়েছিলেন। এখানেই ১১ জন ত্যাগী শিষ্যকে নিজের হাতে গেরুয়া তুলে দিয়েছিলেন ঠাকুর। শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর পরম প্রিয় শিষ্য নরেনকে চিহ্নিত করে গিয়েছিলেন ভবিষ্যৎ সংঘের নেতা রূপে।

১৮৮৬ সালে শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর তাঁর ইচ্ছানুযায়ী সন্ন্যাসী সংঘ গড়ে তোলার দায়িত্বভার স্বামীজীর উপর অর্পিত হয়। শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহী শিষ্য সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের মাসিক পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতার উপকণ্ঠে বরানগর অঞ্চলের প্রামাণিক ঘাট রোডের একটি জীর্ণ বাড়ি ভাড়া করে স্বামীজী তাঁর গুরুভাইদের নিয়ে রামকৃষ্ণ সংঘের ভীত স্থাপন করেন। এখানেই ১৮৮৭ সালের মাঘ মাসের কোনো এক সকালে স্বামীজীর নেতৃত্বে ত্যাগী শিষ্যরা বিরজা হোম করে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। এরপর কিছুকালের জন্য মঠ বরানগর থেকে আলমবাজারের ৫৯ নম্বর রামচন্দ্র বাগচী লেনে স্থানান্তরিত হয়। ১৮৯৭ সালের ১লা মে স্বামীজী শ্রীরামকৃষ্ণের ত্যাগী ও গৃহী ভক্তদের কলকাতার বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতে একত্রিত করে একটি সভার আয়োজন করেন। সেখানেই তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের নামে একটি সংঘ স্থাপনের প্রস্তাব দেন। ওই দিনই রামকৃষ্ণ মিশনের বীজ বপন হয়েছিল। সেই বছরই ৫ই মে দ্বিতীয় সভায় নতুন সংঘের নামকরণ করা হয় রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন। স্বামীজী তার সাধারণ সভাপতি হলেন এবং কলকাতা কেন্দ্রের সভাপতি হলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ। ১৮৯৮ সালে বেলুড় মঠের জমি ক্রয় করা হয়। সেই সময় স্বামীজী এবং সকল ভক্তবৃন্দ বর্তমান বেলুড় মঠের দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এই বাগানবাড়িটিই এখন ‘পুরানো মঠ' নামে পরিচিত।
১৮৯৯ সালে মঠ বর্তমান বেলুড় মঠের ভূমিতে স্থানান্তরিত হয়। স্বামীজী সম্পাদিত একটি ট্রাস্ট ডিডের মাধ্যমে ১৯০১ সালে রামকৃষ্ণ মঠ আইনানুগ স্বীকৃতি লাভ করে। তারপর রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন একটি রেজিস্টার্ড সোসাইটি রূপে আইনানুগ স্বীকৃতি লাভ করে ১৯০৯ সালের ৪ঠা মে। সেই দিন থেকেই ১৮৯৭ সালের ১লা মে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সংঘের আইন সম্মত নাম হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বস্তুতঃ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, রামকৃষ্ণ সংঘের দুই দিক। এই দুই সংগঠনের মধ্যে আইনগত পার্থক্য থাকলেও উভয়ের আদর্শ মূলতঃ একই।
সংগঠনের কাজে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজও(বর্তমানে চেন্নাই) ছিল স্বামীজীর খুব পছন্দের। স্বামীজী মাদ্রাজে মঠ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ তিলে তিলে সেখানে গড়ে তুললেন স্বামীজীর ঈপ্সিত মঠ। তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের উদার শিক্ষার আলোকে দক্ষিণ ভারতে বর্ণের বাধা ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। রামকৃষ্ণানন্দ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একত্র ভোজনের আয়োজন করেছিলেন। দক্ষিণ ভারত এই প্রথম এমন উদার চেতনা দেখেছিল যেখানে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের মতো একজন মহান ব্যক্তিত্ব সাধারণ মানুষের সাথে বসে আহার গ্রহণ করেছিলেন। এইভাবে ধীরে ধীরে তাঁর কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে।

১৯০০ সালে স্বামীজীর ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর' এই বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েকজন যুবক কাশীর অসহায় বিধবাদের সেবা করতে শুরু করেন। স্বামীজী স্বয়ং সেই সেবা কার্য দেখতে যান এবং খুশি হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম রাখেন ‘হোম অফ সার্ভিস'। স্বামী কল্যাণানন্দ ও স্বামী নিশ্চয়ানন্দ মিলে হরিদ্বারের বিভিন্ন কুঠিয়ায় গিয়ে অসহায় ও অসুস্থ সাধুদের সেবা করতে লাগলেন। তাদের এই সেবা কার্য উত্তরাখণ্ডের সন্ন্যাসী সমাজে গভীর রেখাপাত করেছিল। এইভাবেই দিকে দিকে সেবাব্রতের এক একটি প্রদীপ জ্বলে উঠতে থাকে। ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতবর্ষ তথা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহিমা।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মূলমন্ত্র ও আদর্শ
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মূলমন্ত্রটি হল – ‘আত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ' অর্থাৎ নিজের মুক্তি ও জগতের হিত সাধন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের আদর্শের উৎস প্রাচীন ভারতের উপনিষদের বাণী, যাকে শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের জীবনে প্রতিফলিত করে আধুনিক যুগের উপযোগী করে তুলেছিলেন। স্বামীজী এই আধ্যাত্মিকতার নতুন রূপের নাম দিয়েছিলেন প্র্যাক্টিক্যাল বেদান্ত বা বেদান্তের ফলিত রূপ।
আর সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সমগ্র বিশ্বব্যাপী জাতি-ধর্ম-দেশ নির্বিশেষে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ-জীবন উন্নয়ন, সর্বক্ষেত্রেই জনসেবামূলক কাজে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই যুগ্ম সংগঠনের চিন্তা ও কর্মধারার মূলে যে ভাবগুলি রয়েছে সেগুলি হল – কাজের মাধ্যমে উপাসনা, প্রতিটি মানুষের মধ্যে দেবত্বের সম্ভাবনায় বিশ্বাস এবং বিশ্বের সর্ব ধর্মের মৈত্রী ও সমন্বয়।

মিশনের প্রধান কার্যালয় এবং সেখানকার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এই দুই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হল বেলুড় মঠ। পশ্চিমবাংলার হাওড়া জেলার অন্তর্গত বেলুড়ে, গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে এই আন্তর্জাতিক পুণ্যতীর্থক্ষেত্রটি অবস্থিত। বেলুড়ের এই প্রধান কার্যালয় থেকেই সংঘের সমস্ত শাখা কেন্দ্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ঠাকুর স্বয়ং স্বামীজিকে বলেছিলেন “তুই কাঁধে করে আমায় যেখানেই নিয়ে যাবি, আমি সেখানেই যাব ও থাকব।” তাই স্বামীজী নিজে ঠাকুরের পবিত্র ভস্মাস্থি সম্বলিত আত্মারামের কৌটো কাঁধে করে এনে এই পুণ্য ভূমিতে স্থাপন ও পূজা করেন এবং ঠাকুরের নামাঙ্কিত সন্ন্যাসী সংঘের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সন্ন্যাসী মঠটি প্রায় ৪০ একর জমির উপর পরিব্যাপ্ত এবং হিন্দু, ইসলামী, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান স্থাপত্যের সংমিশ্রণে নির্মিত। স্বামীজী পরিব্রাজক হয়ে সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। সেই সময় ভারতের বিভিন্ন মন্দির মসজিদের অপরূপ স্থাপত্যশৈলী তাঁর মনকে প্রভাবিত করেছিল। এর সাথে সাথে আমেরিকা ও ইউরোপ ভ্রমণকালে সেখানকার আধুনিক, মধ্যযুগীয়, গথিক ও রেনেসাঁর সময়ের স্থাপত্যশৈলী তাঁকে মুগ্ধ করে। রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের বিশ্বাস অনুসারে বিশ্বধর্মের আদর্শকে তুলে ধরার জন্য একাধিক ধর্মের স্থাপত্য ও প্রতীকতত্ত্ব থেকে স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সংকলিত করে স্বামীজী বেলুড় মঠ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।
এই বেলুড় মঠের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলির অন্যতম হল ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের মন্দির। স্বামীজীর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতীয় ও পাশ্চাত্য শিল্পকলার সমন্বয়ে মন্দির, মসজিদ, গির্জা এবং বৌদ্ধ মঠের স্থাপত্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণে অভূতপূর্ব স্থাপত্যশিল্পে উদ্ভাসিত প্রস্তরনির্মিত এই শ্রীমন্দিরটি এককথায় অতুলনীয়। এছাড়াও এখানকার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলি হল পুরাতন মন্দির, স্বামী বিবেকানন্দের কক্ষ, জগজ্জননী সারদা দেবীর মন্দির, স্বামী বিবেকানন্দজীর মন্দির, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর মন্দির, সমাধিপীঠ, পুরানো মঠ, রামকৃষ্ণ সংগ্রহ মন্দির (মিউজিয়াম)।

বিভিন্ন শাখা কেন্দ্র
১৮৯৭ সালের ৩১শে অগাস্ট কয়েকজন অনাথ শিশুকে নিয়ে মুর্শিদাবাদে একটি আশ্রম স্থাপন করেন স্বামী অখণ্ডানন্দ, এটাই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম শাখা কেন্দ্র। তারপর একে একে সমগ্র ভারতবর্ষ তথা সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বহু শাখা কেন্দ্র গড়ে ওঠে।
১লা এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ভারতবর্ষ সহ বিভিন্ন দেশে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মোট ২৬৯টি রেজিস্টার্ড শাখা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই রেজিস্টার্ড শাখা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ২০২টি শাখা কেন্দ্র ভারতবর্ষে, ২৬টি বাংলাদেশে, ১৪টি আমেরিকায়, ৩টি ব্রাজিলে, ২টি করে কানাডা, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং ১টি করে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও জাম্বিয়ায় বিদ্যমান। এই শাখা কেন্দ্রগুলির অধীনে ৫২টি উপকেন্দ্র রয়েছে, তন্মধ্যে ভারতবর্ষে ২২টি উপকেন্দ্র এবং ভারতেতর দেশে ৩০টি উপকেন্দ্র অবস্থিত।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কার্যকলাপ
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এই সংগঠন দুটি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের শিব জ্ঞানে জীব সেবার আদর্শ এবং স্বামী বিবেকানন্দের পথনির্দেশ অনুসরণ করে সকল ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সমগ্র বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বহুবিধ কল্যাণমূলক কার্য পরিচালনা করে থাকে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনে দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে শুরু করে বিদ্যালয়, প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, বৈদিক শিক্ষাকেন্দ্র, ছাত্রাবাস, পুস্তক প্রকাশনী কেন্দ্র, অনাথালয়, বৃদ্ধাশ্রম, গ্রন্থাগার, বিকলাঙ্গ কেন্দ্র ইত্যাদি বহুবিধ সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ ও উপজাতীয় এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যে এই সংগঠনদ্বয়ের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গঠনের মাধ্যমে মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলার এই দুই সংগঠনের অবিরাম প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মহামারীর সময় ত্রাণ কার্য পরিচালনায়ও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এই সংগঠন দুটি বিধিবৎ নানা পূজা-ব্রতাদি অনুষ্ঠান ও সভার আয়োজনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রসার ঘটিয়ে চলেছে।
এইভাবেই স্বামীজী যে কর্মকাণ্ডের প্রদীপ প্রজ্বলন করে গিয়েছিলেন, তার আলো আজও গোটা বিশ্বকে আলোকিত করে চলেছে।

Author
Moumita Sadhukhan
A big foodie and a fun-loving person, love to explore the beauty of nature and want to introduce Indian cultural heritage to the future generation.